৮/০৬/২০১৩

লালমাই পাহাড়

✔ ADMIN on ৮/০৬/২০১৩ ১১:১০:০০ AM 0 Comment

শালবন বৌদ্ধ বিহার বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম। কুমিল্লা জেলার লালমাই-ময়নামতি প্রত্নস্থলের অসংখ্য প্রাচীন স্থাপনাগুলোর একটি এই বৌদ্ধ বিহার । এটি ১২শ প্রত্নতাত্বিক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত।

অবস্থান

কুমিল্লার ময়নামতিতে খননকৃত সব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে শালবন বিহার অন্যতম প্রধান। কোটবাড়িতে বার্ডেরকাছে লালমাই পাহাড়ের মাঝামাঝি এলাকায় এ বিহারটির অবস্থান। বিহারটির আশপাশে এক সময় শাল-গজারির ঘন বন ছিল বলে এ বিহারটির নামকরণ হয়েছিল শালবন বিহার। এর সন্নিহিত গ্রামটির নাম শালবনপুর। এখনো ছোট একটি বন আছে সেখানে। এ বিহারটি পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের মতো হলেও আকারে ছোট।

নির্মাণ

ধারণা করা হয় যে খৃষ্টিয় সপ্তম শতাব্দীর শেষ থেকে অষ্টম শতাব্দীর প্রথম ভাগে দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব এ বৌদ্ধ বিহারটি নির্মাণ করেন। শালবন বিহারের ছয়টি নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ পর্বের কথা জানা যায়। খৃষ্টিয় অষ্টম শতাব্দীর মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ে কেন্দ্রীয় মন্দিরটি নির্মাণ করা হয় ও বিহারটির সার্বিক সংস্কার হয় বলে অনুমান করা হয়। চতুর্থ ও পঞ্চম পর্যায়ের নির্মাণকাজ ও সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয় নবম-দশম শতাব্দীতে।

বর্ণনা

আকারে এটি চৌকো। শালবন বিহারের প্রতিটি বাহু ১৬৭.৭ মিটার দীর্ঘ। বিহারের চার দিকের দেয়াল পাঁচ মিটার পুরু। কক্ষগুলো বিহারের চার দিকের বেষ্টনী দেয়াল পিঠ করে নির্মিত। বিহারে ঢোকা বা বের হওয়ার মাত্র একটাই পথ ছিল। এ পথ বা দরজাটি উত্তর ব্লকের ঠিক মাঝামাঝি স্খানে রয়েছে। প্রতিটি কক্ষের মাঝে ১.৫ মিটার চওড়া দেয়াল রয়েছে। বিহার অঙ্গনের ঠিক মাঝে ছিল কেন্দ্রীয় মন্দির।

শালবন বৌদ্ধ বিহার

কক্ষ

বিহারে সর্বমোট ১৫৫টি কক্ষ আছে। কক্ষের সামনে ৮.৫ ফুট চওড়া টানা বারান্দা ও তার শেষ প্রান্তে অনুচ্চ দেয়াল। প্রতিটি কক্ষের দেয়ালে তিনটি করে কুলুঙ্গি রয়েছে। কুলুঙ্গিতে দেবদেবী, তেলের প্রদীপ ইত্যাদি রাখা হতো। এই কক্ষগুলো ছিল বৌদ্ধ ভিক্ষুরা থাকতেন। সেখানে বিদ্যাশিক্ষা ও ধর্মচর্চ্চা করতেন।

হলঘর

বিহারের বাইরে প্রবেশ দ্বারের পাশে দক্ষিণ-পূর্ব কোণে একটি হলঘর রয়েছে। চার দিকের দেয়াল ও সামনে চারটি বিশাল গোলাকার স্তম্ভের ওপর নির্মিত সে হলঘরটি ভিক্ষুদের খাবার ঘর ছিল বলে ধারণা করা হয়। হলঘরের মাপ ১০ মিটার গুণন ২০ মিটার। হলঘরের চার দিকে ইটের চওড়া রাস্তা রয়েছে।

প্রত্নতাত্ত্বিক খনন

প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মাধ্যমে বিহারটির ধ্বংসাবশেষ থেকে আটটি তাম্রলিপি, প্রায় ৪০০টি স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, অসংখ্য পোড়া মাটির ফলক বা টেরাকোটা, সিলমোহর, ব্রৌঞ্জ ও মাটির মূর্তি পাওয়া গেছে। এগুলো বাংলাদেশের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বহন করছে।

17 কি.মি. লম্বা ও 1-2.4 কি.মি. চওড়া এবং westward কুমিল্লা টাউনশিপ থেকে 8 কি.মি. Lalmai পাহাড় উত্তর থেকে দক্ষিণ elongated কম পাহাড় পরিসীমা Lalmai-ময়নামতি পাহাড় পরিসীমা বলা হয়. দক্ষিণ প্রান্তসীমা Chandimura সময়ে শেষ হয় যেহেতু পাহাড় রেঞ্জ উত্তর প্রান্তসীমা Ranir বাংলো রয়েছে. দাক্ষিণাত্য Lalmai হিসাবে পরিচিত হয় যখন পাহাড় পরিসীমা উত্তর অংশ স্থানীয়ভাবে, ময়নামতি হিসাবে পরিচিত হয়. নাম Lalmai সম্ভবত লাল মাটি থেকে অথবা devaparvata এড়িয়ে যাও বন্ধ Lalambi বন (ভাল ঔষধি আজ পরিচিত) থেকে উদ্ভূত হয়, সমতট এর Devas রাজধানী ময়নামতি পাহাড় কোথাও ছিল না.Lalmai পাহাড় এলাকার অক্ষাংশে 23 ° 20'N 23 ° 30'N 91 ° 05'E এবং longitudes 91 ° 10'E মধ্যে মিথ্যা. এটা 33 বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে. পাহাড় রেঞ্জ কুমিল্লা জেলার মধ্যম মাধ্যমে চালানো. অতি এর গড় উচ্চতা 15m সম্পর্কে কিন্তু কিছু পীক 45m অথবা অধিক পর্যন্ত ওঠা. Hilltops অধিকাংশ পাহাড় পরিসীমার সুন্দর দৃশ্যাবলী তোলে লালচে খয়েরি রঙের মাটি দ্বারা লাভের হয়. এই capping লালচে খয়েরি রঙের আমানত প্লেইস্টোসিন বয়স মধুপুর সংকলন বলা হয়. Lalmai পাহাড় রেঞ্জ এই সংকলন Plio-প্লেইস্টোসিন বয়স dupi Tila সংকলন দ্বারা underlain হয়. মধুপুর এবং Dupi Tila Formations কোয়ার্টজ Chalcedony নুড়ি বিছানা বলা হয় যা একটি নুড়ি বিছানা দ্বারা পৃথক করা হয়. এই সীমানা Ranir বাংলো অধ্যায় এ দেখা যায়. Dupi Tila সংকলন শীর্ষে, silicified Woods Lalmai রেঞ্জ বিভিন্ন স্থানে দেখা যেতে পারে. Hilltops কিছু টেবিল পৃষ্ঠতল প্রতিনিধিত্ব করেন এবং গভীরভাবে incised উপত্যকাও একে অপরের থেকে টেবিল পৃষ্ঠতল আলাদা. এই পাহাড় রেঞ্জ আরাকান Yoma পার্বত্য রেঞ্জ ধারাবাহিকতা যে অধিকৃত হয়. সম্ভবত, Lalmai পাহাড় হিমালয় চূড়ান্ত orogenic আন্দোলনের সময় মিডিল প্লেইস্টোসিন সময় উদ্বর্তিত হয়. পাহাড় রেঞ্জ ব্লক উন্নয়ন অতি কিছু সমাজের সারাংশ টেবিলের উপর পৃষ্ঠ প্রসূত. প্রাচীন বৌদ্ধ মঠ অধিকাংশ Lalmai পাহাড় পরিসীমার hillocks এর সমাজের সারাংশ উপর নির্মিত হয়.

KNOW OTHER NATURAL PLACES